বুধবার ৪ অক্টোবর ২০২৩
পদের দাপটে অসহায় জনগণ
মোহাম্মদ মাসুদ খান
প্রকাশ: শনিবার, ২৭ মে, ২০২৩, ৭:২১ PM
সতের কোটি জনসংখ্যার দেশ আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। ভৌগোলিক অবস্থানগত ও অত্যাধিক ঘনবসতিপূর্ণ জনসংখ্যার কারণে অমিত সম্ভাবনারও একটি ভূখণ্ড আমাদের দেশটি। বেদনার বিষয় অনেকগুলো সেক্টরে বেশ কিছু অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে আমরা কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জন করতে পারছি না।

আমাদের প্রজাতন্ত্রের কিছু কিছু কর্মকর্তার আচরণ নিদারুণ পীড়াদায়ক। সরকারি কোনো দপ্তরে গেলে তা সহজেই আমরা টের পাই। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ভূমি, রাজস্ব যে দপ্তরেই যান না কেন হয়রানি, বিড়ম্বনা আপনাকে পোহাতেই হবে। গত সাত-আট বছর ধরে যুক্ত হয়েছে জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয় পত্রের ভুল সংশোধন করতে গিয়ে ভুক্তভোগী নাগরিকদের নিদারুণ ভোগান্তি।  

তবে আজকের লেখার উদ্দেশ্য সেটি নয়। পদ-পদবীর অহংকারে কতিপয় কর্মকর্তা জনগণের সঙ্গে কী ধরনের আচরণ করেন তা নিয়ে একটু আলোকপাত করাই এই লেখার প্রকৃত লক্ষ্য।

ব্রিটিশ বাবুরা বিদায় নিয়েছে আজ থেকে ছিয়াত্তর বছর পূর্বে। সেই সময় ব্রিটিশদের হাতে আমাদের পূর্ব-পুরুষরা শাষন ও শোষনের শিকার হয়েছেন। কারণ তখন আমরা ছিলাম প্রজা। তাই তারা আমাদের সঙ্গে আচরণ করতো গোলামের মতো। তাদের হাতে জুলুম আত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আমাদের দাদা-পর দাদারা। ব্রিটিশরা একশ নব্বই বছর উপ মহাদেশ শাষন করে ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে দেশ ভাগের মাধ্যমে আমাদের আপাত মুক্তি দেয়। 

ব্রিটিশ বাবুদের হাত থেকে মুক্তি মিললেও পরবর্তীতে আমরা বন্দী হই পাকিস্তানী শাসকদের হাতে।  ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত চব্বিশ বছর আমরা শাষিত হই পশ্চিম পাকিস্তানী শাষক দ্বারা। আমাদের বাপ-দাদারা পাকিস্তানীদের হাতেও বঞ্চনার শিকার হন দীর্ঘ চব্বিশ বছর কাল। পাকিস্তান শাসনামলের নাগপাশ থেকে মুক্ত হয়েছি তাও বায়ান্ন বছর পেরিয়ে গেছে।  
 
ব্রিটিশ ও পাকিস্তানীদের হাতে দুইশ চৌদ্দ বছর শাষিত হওয়ার পর,  অবশেষে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে স্বাধীনতার চূড়ান্ত স্বাদ পাই, নয় মাস ব্যাপী রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে। যদিও ততদিনে আমরা হারিয়েছি ত্রিশ লাখ তাজা প্রাণ আর দুই লাখ মা বোনের সম্ভ্রম।

১৯৭২ সালের প্রণীত সংবিধান রচনার মাধমে আমরা লাভ করি একটি স্বাধীন সার্বভৌম নতুন রাষ্ট্র ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ যার একচ্ছত্র মালিক দেশটির জনগণ। এতে দেশের আপামর জনসাধারণ সত্যিই গর্বিত।   

পরিতাপের বিষয় প্রজাতন্ত্রের কিছু কর্মচারী তা মনে করেন না। তাদের আচরণে মনে হয় তারা এই রাষ্ট্রের প্রভু আর যাদের ট্যাক্সের অর্থে এই কর্মচারীদের বেতন বোনাস হয় সেই জনগণ তাদের চাকর।সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি ঘটনায় জনগণের মনে এমন বদ্ধমূল ধারণা জন্ম দিয়েছে।  

গত ২১ মার্চ ২০২৩ বগুড়াতে, ২২ মার্চ ২০২৩ রংপুরে এবং নওগাঁর ৩টি ঘটনা এর চাক্ষুষ উদাহরণ। ঘটনা তিনটি প্রকাশ পেয়েছে বলেই দেশবাসী তা জানতে পেরেছেন অথচ এই ধরনের ঘটনা  হরহামেশাই ঘটে চলেছে। সব ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে আসে না। অপ্রকাশিত সে সকল ঘটনা আড়ালেই থেকে যায়।

বিশেষ করে বিসিএস পরীক্ষায় নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের (তাদের ভাষায় বিসিএস কর্মকর্তা) আচরণে তা প্রকটভাবে পরিলক্ষিত হয়। সরকারি কোনো কাজে গেলে নাগরিকগরা এ সকল কর্মকর্তাদের কাছে রীতিমতো জিম্মি হয়ে পড়েন।  কিছু ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে। আবার হতে পারে যারা প্রভুসুলভ আচরণ করেন তারাই ব্যতিক্রম। ভালো কাজের জন্য সংশ্লিষ্টরা নিশ্চয়ই সাধুবাদ পাবেন। 

আলোচ্য বিষয়য়ের প্রথম ঘটনায় আসা যাক। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী গত ২১ মার্চ বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী ফেসবুকে একটি আপত্তিকর পোস্ট দেয় যেখানে মেয়েটি লিখে, ‘আমি জজের মেয়ে, ক্লাস রুম পরিস্কার করা আমার কাজ না, তোরা বস্তির মেয়ে এটা তোদের কাজ।’ এই পোস্ট দেখে স্বাভাবিকভাবেই তার সহপাঠীরা এর উত্তর দেয়। আর এতে ফেসবুকে পোস্টদানকারী ছাত্রীর বিসিএস ক্যাডার মা উত্তর প্রদানকারী ছাত্রীদের ওপর ভীষণ খুব্ধ হন। বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ পদধারী ছাত্রীর মা রুবাইয়া ইয়াসমিন স্কুলে এসে উত্তর প্রদানকারী শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ‘মা’দের স্কুলে ডেকে আনেন এবং শিক্ষার্থী ও তাদের ‘মা’দের শাষান। 

বিসিএস ক্যাডার ‘জজ পদধারী’ সেই অভিবাবক মা ক্লাসের অন্য শিক্ষার্থীদের বলেন তোরা তোদের মন্তব্য প্রত্যাহার কর, তা না হলে তোদের নামে আইসিটি আইনে মামলা দেওয়া হবে এবং তোদের দশ বছর জেল হবে। স্কুল থেকে তোদের টিসিও দেওয়া হবে। এমনকি তিনি একজন শিক্ষার্থীর ‘মা’কে তার পা ধরে মাফ চাইতেও বাধ্য করেন।

নিরুপায় ওই মা তখন ‘জজ পদধারী’ মা’র পা ধরে মাফ চাইতে বাধ্য হন। পুরো ঘটনাটি ঘটেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছা. রাবেয়া খাতুনের সামনে। উক্ত ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার ভূমিকাও নিন্দনীয়। কারণ তিনি এই ঘটনায় তার ছাত্রীদের পাশেতো দাঁড়াননি বরং নির্লজ্জভাবে তিনি অভিভাবক ‘জজ মা’র পক্ষে তার ছাত্রীদের ভয় ভীতি প্রদর্শন করেছেন।  

সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী এই ঘটনায় ছাত্রী এবং তাদের অভিবাবক ‘মা’রা ছিলেন পুরো নির্দোষ। অথচ এই নির্দোষ অভিভাবকরা নারী জজ ও প্রধান শিক্ষিকা দ্বারা নিদারুণ অপমানিত ও লাঞ্ছনার শিকার হন।

দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে গত ২২ মার্চ রংপুরে। খবরে জানা গেছে, জেলা প্রশাসক আরেক বিসিএস কর্মকর্তা চিত্রলেখা নাজনীনকে ‘স্যার’ সম্বোধন না করায় তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ওমর ফারুকের ওপর ক্ষুব্ধ হন। রংপুরের জেলা প্রশাসক চিত্রলেখা নাজনীন বলছেন তিনি নারী বলে তাকে আপা সম্বোধন করা হয়েছে অথচ এই চেয়ারে যিনি বসেন তাকে ‘স্যার’ বলা উচিৎ। এটি জেন্ডার বৈষম্য বলেও তিনি মনে করেন। 

তৃতীয় ঘটনায় ২২ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় থেকে সুলতানা জেসমিনকে আটক করে র‌্যাব। ২৪ মার্চ সকালে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের  আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এরপর থেকে সুলতানা জেসমিনের পরিবার অভিযোগ করে আসছে, তাকে র‌্যাব হেফাজতে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে।

র‌্যাব বলছে একজন যুগ্ম সচিব পদ মর্যাদার কর্মকর্তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়েছিলো।   

আলোচিত তিনটি ঘটনার দুটির নায়িকা দুজন বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা। যাদের একজন ‘জেলা দায়রা জজ’ এবং অন্যজন ‘জেলা প্রশাসক’ পদধারী। অন্যটির নায়ক আরেকজন বিসিএসধারী যুগ্ম সচিব পদ মর্যাদার একজন কর্মকর্তা যার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভূমি অফিসের সহকারী সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়।  

প্রথম কাণ্ডের নায়িকা বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিন। যার ভূমিকা আমাদের পুরো বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। নির্দোষ শিক্ষার্থীদের এবং তাদের অভিভাবক ‘মা’র সঙ্গে যে আচরণ করেছেন সে জন্য তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিৎ ছিলো, যা হয়নি। কেবল বদলী করে সমস্যা আপাতত পাশ কাটানো হয়েছে। এতে সমস্যার প্রকৃত সুরাহা হয়নি। 

প্রশ্ন হলো এই ধরনের মানসিকতার একজন মানুষ কীভাবে বিসিএস পরীক্ষায়  উত্তীর্ণ হতে পারেন? এটি সচেতন নাগরিকদের একান্ত জিজ্ঞাসা। 

নারী জজের আচরণ আমাদের বিচার ব্যবস্থাকে যেমন প্রশ্নের মুখে ফেলেছে ঠিক তেমনি বিসিএস নিয়োগ প্রক্রিয়াকেও বিতর্কের মুখে ফেলেছে। এমনকি তাদের প্রশিক্ষণ নিয়েও জনমনে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে।

দ্বিতীয় ঘটনার নায়িকা রংপুরের জেলা প্রশাসক চিত্রলেখা নাজনীন। যাকে ‘স্যার’ সম্বোধন না করায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহযোগী অধ্যাপকের ওপর অসন্তষ্ট হন।

ডিসি বা ডেপুটি কমিশনারকে বাংলায় আমরা বলি জেলা প্রশাসক যিনি একজন উপ সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা। এই পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপকের সঙ্গে যদি এহেন আচরণ করেন তাহলে অন্য নাগরিকদের সঙ্গে তিনি কেমন ব্যবহার করবেন তা সহজেই অনুমেয়।

৭৬ বছর আগে ব্রিটিশরা এই অঞ্চলের জনগণকে তাদেরকে স্যার সম্বোধন করতে বাধ্য করতেন। কারণ দখলদার ব্রিটিশরা তাদেরকে লর্ড বা প্রভু ভাবতেন আর জনগণকে তাদের অধীনস্থ স্লেভ বা প্রজা মনে করতেন।  

জেলা প্রশাসক চিত্রলেখা নাজনীন সংবিধানের কোথায় পেলেন দেশের যে কোনো নাগরিকের জেলা প্রশাসককে স্যার সম্বোধন করতে হবে? তিনি কি জানেন না স্যারের পুরো অর্থ কি? আভিধানিক অর্থে স্যারের পূর্ণাঙ্গ রূপ দাঁড়ায় স্লেভ আই রিমেইন। যার সংক্ষিপ্ত রূপ স্যার। বাংলা অনুবাদ করলে দাঁড়ায় ‘আমি আপনার দাস’। তাই দখলদার ব্রিটিশরা এই অঞ্চলের জনগণকে তাদেরকে স্যার সম্বোধন করতে বাধ্য করতেন। 

ব্রিটিশরা বিদায় নিয়েছে প্রায় শত বছর হতে চলেছে অথচ তাদের প্রেতাত্মারা এখনো স্বাধীন  বাংলাদেশের জনগণকে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে। জনগণের করের অর্থে বেতন প্রাপ্ত ব্রিটিশ প্রেতাত্মারা স্বাধীন জনগণকেই উল্টা শাসন শোষণ আর অপমান করছে। 

শুধু তাই নয় একজন যুগ্ম সচিব পদ মর্যাদার কর্মকর্তার মৌখিক অভিযোগে একজন ভূমি অফিসের সহকারীকে ধরে নিয়ে যায় র‌্যাব। পরে তার অমূল্য প্রাণটাই গেছে। নিছক অভিযোগে স্বাধীন দেশের একজন নাগরিককে এভাবে ধরে নিয়ে যাওয়া কতটুকু যৌক্তিক?  

প্রশাসনের মুষ্টিমেয় কিছু কর্মকর্তাদের এহেন আচরণ সরকার ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তিকে ভীষনভাবে ক্ষুণ্ন  করছে। এদের অন্যায় আচরণের দায় সরকার ও রাষ্ট্র কেন নিবে?

শিক্ষার সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পর্যন্ত এই কর্তারা জ্ঞান দান করছেন। আর কৃষক-শ্রমিক তো এদের কাছে বস্তির মানুষতুল্য।

আমরা কি তাহলে ব্রিটিশ কলোনির বাসিন্দা? না কি এখনো পরাধীন? তা না হলে আম জনতার সঙ্গে এ ধরনের আচরণ কেন? কেনইবা তাদের এতো অহংকার? তারা বিসিএস পদধারী কর্মকর্তা এ জন্য?  এই পদধারীদের পদের দাপটে নিরীহ জনগণ আজ সত্যি অসহায়। এদের অহংকারের জাতাকলে আমজনতা আজ নিষ্পেষিত। স্বাধীনতার সুফল থেকে তারা আজ বঞ্চিত। এই অবস্থার অবসান বাঞ্চনীয়।

মোহাম্মদ মাসুদ খান : সাধারণ সম্পাদক, শেরেবাংলা নগর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় আলামনাই এসোসিয়েশন।

আজকালের খবর/আরইউ








সর্বশেষ সংবাদ
পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা যথাযথ হলে কারচুপি পরাভূত করা সম্ভব: সিইসি
পুলিশ হেফাজতে সাবেক দুদক কর্মকর্তার মৃত্যুর অভিযোগ
সূচকের মিশ্র প্রবণতায় শেয়ারবাজারে লেনদেন চলছে
নাইজেরিয়ায় অবৈধ তেল শোধনাগারে বিস্ফোরণে নিহত ৩৭
সিকিমে হঠাৎ বন্যায় নিখোঁজ ২৩ সেনা সদস্য
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
কবি নজরুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত
‘আমেরিকার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপস হয়ে গেছে, আর স্যাংশন আসবে না’
শর্ত মেনেই শুটিংয়ে রাজি সায়ন্তিকা!
সেলিব্রেটিদের মারামারির ভিডিও প্রকাশ করলেন রাজ রিপা
মুক্তিপণ না পেয়ে শিশুকে হত্যা, মরদেহ মিললো ডোবায়
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft