মো. রবিউল ইসলাম
প্রকাশ: রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১:০০ AM

কানাডার কলগ্যারি শহরে বসছে ৪১ সদস্য দেশের বিশ্ব পেট্রোলিয়াম কাউন্সিলের ২৪তম কংগ্রেস। জ্বালানি তেল ও গ্যাস খাতের অলিম্পিক হিসেবে খ্যাত পেট্রোলিয়াম কংগ্রেসে এবার বিশ্বের বর্তমান বৈশ্বিক উষ্ণতা থেকে বিশ্ব বাঁচাতে হলে কি ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে, তা নিয়েই মূল আলোচনা থাকবে। নতুন উদ্ভাবনী কৌশল নিয়েও আলোচনা হবে।
পেট্রোলিয়াম খাতের কয়েকশ দক্ষ ব্যাক্তি এই কংগ্রেসে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর এই কংগ্রেস অনেকটা বেশি গুরুত্ব বহন করে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের তেল ও গ্যাস জায়ান্টদের প্রধান নির্বাহীরা এবার কলগ্যারি মাতাবেন। তবে ২০২২ সাল থেকে তেল ও গ্যাস সংকটের চিত্রই বলে দিচ্ছেন এবারের কংগ্রেস অনেক গুরুত্বপূর্ণ হবে।
ওয়ার্ল্ড পেট্রোলিয়াম কাউন্সিল-ডব্লিউপিসি এবং ওয়ার্ল্ড পেট্রোলিয়াম কাউন্সিল কানাডার যৌথ আয়োজনে ২৪তম বিশ্ব পেট্রোলিয়াম কংগ্রেস-এর এবারের পাঁচ দিনের আয়োজন শুরু হবে আগামী ১৭ সেপ্টম্বর এবং শেষ হবে ২১ সেপ্টম্বর। এবারের আয়োজনে থাকছে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান, কৌশলগত অধিবেশন, কারিগরি ভ্রমণ, পেট্রোলিয়াম শিল্পে নারীর অংশগ্রহণ, তরুণ ও যুবকদের নিয়ে বেশ কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে স্বাগতিক দেশ কানাডা। সাইট ইভেন্টও থাকবে বেশ কিছু।
২০১৯ সালে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবাগে বিশ্ব পেট্রোলিয়াম কংগ্রেসে ভোটের মাধ্যমে কানাডার কলগ্যারি জয়লাভ করে এই কংগ্রেসের আয়োজন করতে যাচ্ছে। ৫১ শতাংশ ভোট পেয়ে আয়োজক দেশের মর্যাদা পায় কানাডা। এক ভোট কম পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল আজারবাইজানের বাকু। কানাডিয়ান স্বেচ্ছাসেবক দল তাদের দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় কংগ্রেসে জয়লাভ করে উচ্ছ্বসিত ছিল। কারণ ডব্লিউপিসি কানাডিয়ান ন্যাশনাল কমিটির চেয়ারম্যান ডেনিস পেনচাউড ওয়ার্ল্ড পেট্রোলিয়াম কাউন্সিলের মহাপরিচালক ডঃ পিয়ার্স রিমারের সাথে আয়োজক চুক্তিতে স্বাক্ষর করার পর তার বক্তৃতায় বলেছিলেন: "এটি একটি রোমাঞ্চকর বিজয় ছিল - তৈরির পাঁচ বছর। এবং তিনি প্রত্যেককে "গ্যারান্টি দিয়েছেন, ২০২৩ সালে ক্যালগারিতে আপনার একটি অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা হবে।”
২৪তম বিশ্ব পেট্রোলিয়াম কংগ্রেসের শিরোনাম-‘এনার্জি ট্রান্সফরমেশন: দ্যা পাথ টু নেট জিরো’। ক্রমাগত বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে চলমান জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে একটি পরিবেশ সম্মত জ্বালানি চাহিদা নিশ্চিত করাই এই কংগ্রেসের অন্যতম লক্ষ্য।
শক্তির মৌলিক অ্যাক্সেস, উন্নত এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং বর্ধিত গতিশীলতার জন্য সমাজের ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে কভার করার জন্য, উদ্ভাবন হল মূল বিষয়। শিল্পের নেতৃত্ব, সৃজনশীলতা, প্রযুক্তি এবং দক্ষতার উপর গড়ে তোলার সম্ভাবনার সাথে, তেল ও গ্যাস সেক্টর উদ্ভাবনী সমাধানগুলি বিকাশে সহায়তা করতে পারে যা সামাজিক বৈচিত্র্যের সাথে খাপ খায় এবং বিশ্বের জন্য মাপযোগ্য, ব্যবহারযোগ্য এবং টেকসই শক্তি সরবরাহ করে। পৃথিবী আগামী দিনে ভালোভাবে পরিচালনার জন্য পেট্রোলিয়াম খাতসহ পরিবেশ সম্মত জ্বালানির জন্য আমাদের শক্তির সমস্ত উৎস কাজে লাগাতে হবে।
আজকালের খবর/আরই