বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
পল্লী গীতিকা ও আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন
অভিজিৎ বড়ুয়া অভি
প্রকাশ: শনিবার, ২০ মে, ২০২৩, ৩:২৯ PM
উনবিংশ শতকের শেষের দিক। বাংলার সাহিত্যজগৎ তখনো রবীন্দ্রছোঁয়া সেভাবে পায়নি। তখনো বঙ্গভঙ্গ নামের কোনো ঘটনা ঘটেনি। সেসময়েও এপার বাংলার ‘বাঙ্গাল’ পরিচয়টাই বড় হয়ে ছিল উনিশ শতকের পশ্চিমবঙ্গের জ্ঞানীগুণী মানুষের দৃষ্টিতে। এমনকি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো মনীষীর আচরণেও এর ব্যতিক্রম ছিল না। এপার বাংলার সাহিত্য বা সংস্কৃতি ছিল পশ্চিমবঙ্গের জ্ঞানীগুণী মানুষের দৃষ্টিতে ‘বাঙ্গাল’দের  সাহিত্য বা সংস্কৃতি।

১৯১৬ সালে ময়মনসিংহের কবি চন্দ্রকুমার দে প্রথম সেই এলাকার প্রচলিত পালাগান বা গাথাগুলি সংগ্রহ করেছিলেন। এই সমস্ত পালা ময়মনসিংহ গীতিকা নামেই পরিচিতি লাভ করে। ১৯৬৬ নাগাদ ক্ষিতীশ মৌলিক এই ময়মনসিংহের পালাগুলির আরো একটি সম্পাদিত রূপ প্রকাশ করেন। প্রকাশিত হবার পরেই এই গাথাগুলি রসিক সমাজে প্রভূত সমাদর লাভ করে। কাব্যগুণ, সরলতা, বাংলার পল্লিজগতের সুর, রস, ও ঘ্রাণে সমৃদ্ধ এই সকল পালা, বাংলার লোক সাহিত্যের এক নতুন দিক খুলে দেয়। এর প্রাচীনতা নিয়ে পণ্ডিতেরা এখনও সহমত পোষণ করতে পারেন নি। লোক সাহিত্য বলা হলেও এইপালা গুলির বিশেষ বিশেষ কবিদের লিখিত রচনা। তাই এগুলি কোন সমাজের সাধারণ সম্পত্তি নয়। লোকমুখে ফিরে ফিরে, সংগ্রাহক, সম্পাদক এবং প্রকাশকদের হাত পড়ে যে এগুলি নিজের প্রাচীনতা ও স্বকীয় বিশিষ্টতা অনেকটাই হারিয়েছে তাতে সন্দেহ নেই।  চন্দ্রকুমার দে বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার পূর্বাংশে নেত্রেকোনা, কিশোরগঞ্জের বিল, হাওর ও বিভিন্ন নদনদী প্লাবিত বিস্তৃত ভাটি অঞ্চল থেকে বাংলার এ শ্রেষ্ঠ গীতিকাগুলো সংগ্রহ করেছিলেন। এগুলোর মধ্যে মহুয়া, মলুয়া, কমলা, চন্দ্রাবতী ও জয়চন্দ্র, ঈশাখা দেওয়ান, দস্যু কেনারাম, রূপবতী, ফরোজ খাঁ দেওয়ান, মহরম খাঁ দেওয়ান, দেওয়ান ভাবনা, ছুরত জামাল ও আধুয়া সুন্দরী, কাজল রেখা, অসমা, ভেলুয়া সুন্দরী, কঙ্ক ও লীলা, মদনকুমার ও মধুমালা, গোপিনী কীর্ত্তন, দেওয়ানা মদিনা, বিদ্যাসুন্দর প্রভৃতি পালাগানগুলো বর্তমান যুগেও অত্যন্ত জনপ্রিয়। ১৩২০ সনের ‘সৌরভ’-এ চন্দ্রকুমার দের ‘মহিলা কবি চন্দ্রাবতী’ শীর্ষক প্রবন্ধটি পড়ে দীনেশচন্দ্র সেন মুগ্ধ হয়ে পড়েন ও চন্দ্রকুমারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন।

এ ছাড়া রয়েছেন আশুতোষ চৌধুরী। চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখীল গ্রামে ১৮৮৮  সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলার পল্লী গীতিকা সংগ্রাহক, কবি, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার। তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যবই ছোটদের ‘চট্টলভূমি’ নামে একটি ভূগোল বই রচনা করেন। এই বইটির সূত্র ধরেই তার পরিচয় ঘটে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যক্ষ ড. দীনেশচন্দ্র সেনের সঙ্গে। দীনেশচন্দ্র সেন আশুতোষ চৌধুরীর সঙ্গে যোগযোগ স্থাপন করে তাকে ১৯২৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পল্লীগীতি সংগ্রাহকরূপে নিযুক্ত করেন। তিনি বছরের পর বছর চট্টগ্রামের আনাচে-কানাচে ঘুরে লোকগান-কাহিনী সংগ্রহ করেছেন। তিনি যে কয়টি পালাগান সংগ্রহ করেন সেগুলো কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত পূর্ববঙ্গ গীতিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তার প্রকাশিত একমাত্র কাব্যগ্রন্থ ‘গীতিকা’। আশুতোষ চৌধুরী সংগৃহীত চট্টগ্রামের পালাগানের মধ্যে নুরুন্নাহার ও কবরের কথা, ভেলুয়া সুন্দরী, কমল সওদাগর, কাফন চোরা, নেজাম ডাকাতের পালা, হাতী খেদা, নসর মালুম এই সাতটি পালাগান এবং সুজা তনয়ার বিলাপ ও পরীবানুর হঁলা নামে দু’টি গাথা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশিত পূর্ববঙ্গ গীতিকার বিভিন্ন খন্ডভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি চট্টগ্রাম, আরাকান, ত্রিপুরা অঞ্চলের লুপ্তপ্রায় প্রায় ৭৬টি পালাগান সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে দীনেশ চন্দ্র সেনের পূর্ববঙ্গ গীতিকায় নয়টি সংকলিত হয়। লোকগীতিকার সংগ্রহে ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’র সংগ্রাহক চন্দ্র কুমারের পরই আশুতোষ চৌধুরীর স্থান। এ ছাড়া আশুতোষ চৌধুরী বারোমাসি ও হঁলা (বিয়ের গান) ও মাইজভাণ্ডারি গান সংগ্রহ করেন। তার অপ্রকাশিত দুটি গীতিকা হচ্ছে ‘মজুনা’ ও ‘দেওয়ান নুহর’।

আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন (রায়বাহাদুর) ছিলেন শিক্ষাবিদ, গবেষক, লোক-সাহিত্যবিশারদ, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকার। দীনেশচন্দ্র সেন ১৮৬৬ সালের ৩ নভেম্বর মানিকগঞ্জ জেলার বগজুরি গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত বৈদ্যব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জগন্নাথ স্কুল থেকে এনট্রান্স (১৮৮২), ঢাকা কলেজ থেকে এফএ (১৮৮৫) পাস করেন। ১৮৮৯ সালে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন। কর্মজীবন শুরু করেন সিলেটের হবিগঞ্জ স্কুলে (১৮৮৭)। পরে কুমিল্লার শম্ভুনাথ ইনস্টিটিউশন (১৮৮৯) ও ভিক্টোরিয়া স্কুলের (১৮৯০) প্রধান শিক্ষকের পদে যোগদান করেন। ১৮৯০-এ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনকালে গ্রামবাংলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে প্রাচীন বাংলার পুঁথি সংগ্রহ করেন এবং সেসব উপকরণের সাহায্যে ১৮৯৬-এ ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ শিরোনামে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস রচনা করেন। গ্রামের তথাকথিত পিছিয়ে থাকা নিরক্ষর মানুষদের ভেতরেও যে সাহিত্যের ধারা বয়ে যাচ্ছে, তার সঙ্গে বাংলার মূল ধারার সাহিত্যের পরিচয় ঘটান তিনি। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রত্যেকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন দীনেশচন্দ্রকে। হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ভাষায়, এই বইটি ‘ডিসকভারি অব আওয়ার লিটারারি হেরিটেজ’। কিন্তু দীনেশচন্দ্র অমর্যাদার শিকারও হয়েছিলেন ‘বাঙ্গাল’ বলে? মনেপ্রাণে ইচ্ছে ছিল, কলকাতায় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন স্কুলে শিক্ষকতা করবেন। কিন্তু সেই আশা ভেঙে গেল। ‘বাঙাল’ বলে ব্যঙ্গও করেছিলেন বিদ্যাসাগর! প্রায় একই ব্যবহার পেয়েছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকেও। সাহিত্যসম্রাটের কাছে সাহিত্য নিয়েই একটু আলোচনা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অজ পাড়াগাঁয়ের এক ‘বাঙ্গাল’ ছেলের সঙ্গে সেসব আলোচনায় যেতেই চাইলেন না তিনি!  

১৮৯৬ সালে দীনেশচন্দ্রের পুথিসংগ্রহ, পুথিপাঠ এর সময় তার কর্মজীবনে এবং গবেষণার ক্ষেত্রে একটি নতুন পর্বের সূচনা হয়। তিনি উপাচার্য স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের আহ্বানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হন। প্রথমে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ পরীক্ষার বাংলা বিষয়ের পরীক্ষক (১৯০৫), পরে রিডার পদে (১৯০৯) নিযুক্তি লাভ করেন। ১৯১০ সালে মনোনীত হন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য। ১৯১১ সালে প্রকাশিত হয় তার হিস্টরি অব বেঙ্গলি ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড লিটারেচার গ্রন্থ। এ গ্রন্থের জন্য তিনি পাশ্চাত্যের গবেষক ও সাহিত্য-সমালোচকদের কাছ থেকে ভূয়সী প্রশংসা লাভ করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘রামতনু লাহিড়ী রিসার্চ ফেলোশিপ’ পেয়ে (১৯১৩) তিনি মৈমনসিংহ-গীতিকাসহ পূবর্ববঙ্গ-গীতিকা (চার খণ্ড, ১৯২৩-১৯৩২) এবং এর ইংরেজি ভাষ্যে ইস্টার্ন বেঙ্গল বেলেডস (চার খণ্ড, ১৯২৩-১৯৩২) সংকলন ও সম্পাদনা করেন। বাংলাদেশের সমৃদ্ধ লোকসাহিত্য বিলুপ্তি থেকে উদ্ধার এবং এ সাহিত্য বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থাপনের লক্ষ্যে গ্রন্থ প্রণয়নে তিনি অসাধারণ ভূমিকা পালন করেন। তার এসব সাহিত্যকর্ম বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে তোলে এবং তাকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দেয়। বাংলা সাহিত্য বিষয়ে গবেষণামূলক ও ইতিহাসধর্মী গ্রন্থ প্রণয়ন, পৌরাণিক আখ্যান রচনা, লোকসাহিত্য সম্পাদনা ও বাঙালির ইতিহাস প্রণয়নের পাশাপাশি তিনি রচনা করেন কবিতা, উপন্যাস ও গল্প। সব মিলে তার গ্রন্থ সংখ্যা ৬০।

ডা. স্টেলা ক্র্যামরিস মৈমনসিংহ-গীতিকার ‘মহুয়া’ পড়ে বলিয়াছিলেন, ‘সমস্ত ভারতীয় সাহিত্যে এই গল্পের জোড়া নাই।’ ডা. সিলভ্যান লেভি লিখেছিলেন, ‘ফরাসি দেশের শীতপ্রধান আবহাওয়ার মধ্যে বাস করে এই সকল গল্প পড়বার সময়ে মনে হয়েছে চিরবসন্তের রাজ্যে বিহার করছি’ এবং সুপ্রসিদ্ধ শিল্পী রোদেনস্টাইন বলেছিলেন, ‘অজন্তা ও অমরাবতীর যে সকল অপূর্ব রমণীমূর্তি দেখেছি, এই সকল গল্পের নায়িকারা যেন সেই রমণীদেরই জীবন্ত লেখমালা।’ ১৯৪০ সালে প্রকাশিত ‘বাংলা সাহিত্যের ভূমিকা’ শীর্ষক পুস্তকে নন্দগোপাল সেনগুপ্ত মৈমনসিংহ গীতিকায় বিধৃত অসাম্প্রদায়িক মানবিকতা ও কাব্যগুণের যথেষ্ট প্রশংসা করে লিখেছেন- ‘উপধর্ম-কবলিত প্রাচীন বাংলা সাহিত্যে দৌলৎ কাজী ও আলাওলের কাব্য দুটি যেমন বিস্ময়কর, তেমনি বা তার চেয়ে বিস্ময়কর মৈমনসিংহ গীতিকা। গীতিকাগুলিও ষোল আনা মানুষের কাহিনী। তার ভেতর দেবতার হস্তক্ষেপ নেই। এমন কি হিন্দু-মুসলমানের বা উঁচু-নিচুর ভেদও মানেননি কবিরা।’

কিন্তু বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত ইতিহাসকার ড. সুকুমার সেন একেবারে সোজাসুজিই দীনেশচন্দ্র সেন সম্পাদিত চার খণ্ড গীতিকার প্রামাণিকতা অস্বীকার করেছেন এবং গীতিকাগুলোর প্রধান সংগ্রাহক চন্দ্রকুমার দে সম্পর্কে আপত্তিকর বক্রোক্তি করেছেন। ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড, অপবার্ধ)’-এ তিনি লিখেছেন- উত্তরপূর্ব ও পূর্ববঙ্গে লোকমুখবাহিত অল্পবিস্তর খণ্ডিত অনেক গাথা মৈমনসিংহ গীতিকা এবং পূর্ববঙ্গগীতিকা নামে চারি খণ্ডে দীনেশচন্দ্র সেনের সম্পাদনায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত হইয়া সুপ্রসিদ্ধ হইয়াছে। এগুলি প্রায় সবই চন্দ্রকুমার দে-র সংগ্রহ। চন্দ্রকুমার দে সংগ্রহ করিয়াই ক্ষান্ত হন নাই, গাথাগুলির ভাষায় ছন্দে কলম চালাইয়া সেগুলিকে ভালো করিয়া সম্পাদন করিয়াছিলেন। কিন্তু সে কথা তিনি একবারও বলেন নাই। দীনেশ বাবু চন্দ্রকুমার দে-র কাছে প্রাপ্ত বস্তু সম্পূর্ণরূপে খাঁটি বলিয়া গ্রহণ করিয়াছিলেন এবং সেইভাবে ছাপাইয়াছিলেন। 

আজকালের খবর/আরইউ








সর্বশেষ সংবাদ
বামনডাঙা নদীর জমি সরকারের নামে লিপিবদ্ধ করার দাবিতে আবেদন
মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট সেবার উদ্বোধন
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের ভোট আগামীকাল থেকে শুরু
ফের ২০ বিলিয়নের নিচে নামল রিজার্ভ
রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় ১৭ নারীসহ ৫২ জন রিমান্ডে
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
উপজেলায় ভোট করতে পারছেন না মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা
কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে গিয়েই কি বন্যার কবলে দুবাই?
পরিবেশ দূষণের অভিযোগে সীতাকুণ্ডে এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
জগন্নাথপুরের কৃতি সন্তান আব্দুল কাদিরের লন্ডনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন
আজ রাতে এক ঘণ্টা বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট পরিষেবা
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft