প্রকাশ: বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০২৩, ৭:২১ PM
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অহেতুক বেশি ও উচ্চশব্দের যন্ত্র ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। অযথা হর্ন বাজানো, হাইড্রোলিক হর্ন পরিহার করতে হবে। এটি নিশ্চিত করতে পারেন পরিবহন মালিক ও ব্যবহারকারীরা।
তিনি বলেন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। শব্দদূষণের ক্ষতিকর দিক বিবেচনায় এটি নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এজন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বিধিমালা যুগোপযোগীকরণ ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের অধীনে আয়োজিত সচেতনতামূলক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
ইমাম ও পুরোহিতসহ সব ধর্মীয় নেতাকে শব্দদূষণ রোধে জনসচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন হবে, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকেরা জনগণকে সচেতন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকবল সংকট আছে। এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা চাই। হাইড্রোলিক হর্নের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিআরটিএ ও পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। যানবাহনের ফিটনেস সনদ দেওয়ার সময় হাইড্রোলিক হর্ন ও অধিক মাত্রার হর্ন ব্যবহারকারী যানবাহনকে অনুমতি না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
এ সময় হাইড্রোলিক হর্ন ও শব্দদূষণের বিরুদ্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য মাঠ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান পরিবেশমন্ত্রী।
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- পরিবেশ, বন ও পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড.আবদুল হামিদ, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক
মো. ইকবাল, খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন ও খুলনা মেডিকেল কলেজের নাক, কান ও গলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. কামরুজ্জামান।
আজকালের খবর/ওআর