প্রকাশ: সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২২, ১:১০ পিএম
সিলেটের বিশ^নাথে লামাকাজী ব্রিজের টোল আদায়কে কেন্দ্র করে ৬ গ্রামবাসীর মধ্যে ২ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়েছে। রবিবার (১৬ অক্টোবর) রাত ৯টায় লামাকাজী ইউনিয়নের মির্জাগাঁও এবং একই ইউনিয়নের পাঁচগাঁও (সাঙ্গিরাই, দোকানীপাড়া, কাজিরগাঁও, খেসবপুর ও মোল্লারগাঁও গ্রামবাসী) এর মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ইট পাটকেলের আঘাতে বিশ^নাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান ও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল ইসলামসহ অন্তত অর্ধ শতাধিক লোক আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- রাজাপুর গ্রামের নজির মিয়া (২১), খেশবপুর গ্রামের ফয়ছল আহমদ (২২), এ কে এম দুলাল (৪৫), দোকানী পাড়া গ্রামের আব্দুল হক (৪০), সাঙ্গিরাই গ্রামের শাকরান মিয়া (১৯) ও কাজিরগাঁও গ্রামের শায়েস্তা মিয়া (৩৫)। অন্যান্য আহতদের নাম তাক্ষণিক জানা যায়নি।
প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার রাত ৯টায় সিলেটের জালালাবাদ থানার জাঙ্গাইল গ্রামের এক সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক লামাকাজী ব্রিজের টোল ফাঁকি দিয়ে চলে যেতে চাইলে তাকে টোল আদায়ে থাকা লোকজন থামিয়ে তার কাছ থেকে টোল আদায় করেন। এ সময় ওই ব্যাক্তির সাথে টোল আদায়কারী লোকদের বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে টোল ফাঁকি দেওয়া সিএনজি চালকের পক্ষ নিয়ে মির্জাগাঁও গ্রামবাসী এবং টোল আদায়কারীদের পক্ষ নিয়ে অপর পাঁচগাঁও (সাঙ্গিরাই, দোকানীপাড়া, কাজিরগাঁও, খেসবপুর ও মোল্লারগাঁও) সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলে উভয় পক্ষে ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। পরে সিলেট মেট্রো পলিটন পুলিশের (এসএমপি) জালালাবাদ থানার পুলিশদল ও দাঙা পুলিশ গিয়ে সংঘর্ষ থামাতে বিশ্বনাথ থানা পুলিশকে সহায়তা করে। ৭ রাউন্ডটিয়ার গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে রাত ১১টার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষ চলাকালে ভাংচুর করা হয় শতাধিক দোকানপাট ও অন্তত ২০টি যানবাহন। দোকান গুলোতে লুটপাটও করা হয়। বাজারে দুটি ব্যাংকেও করা হয় ভাংচুর। এসময় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বিশ^নাথ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ওসি স্যার ও আমিসহ থানার বেশ কয়েক জন পুলিশ আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আজকালের খবর/বিএস