প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৫:১৮ PM আপডেট: ২২.০৯.২০২২ ৫:৩৯ PM

ভারতে গ্রেপ্তার বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলার মূল অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) আগামী বছরের মার্চের মধ্যে ফেরত দেওয়া হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) বলেছে, আগামী বছরের মার্চের মধ্যে পি কে হালদারকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ইডি বলেছে, পি কে হালদার ব্যক্তিগত আইনজীবী সুকুমার মৃধার সহায়তায় পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের একাধিক রাজ্যে বিপুল সম্পদ করেছেন। বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে অর্থপাচারের মাধ্যমে সেখানে একাধিক অভিজাত বাড়িসহ বিপুল সম্পদ গড়ে তুলেছেন বলেও খোঁজ পেয়েছে ইডি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতার একটি বিশেষ আদালত। আগামী ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের পলাতক এই আসামিদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিন কলকাতার সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের চার নম্বর আদালতের বিচাররক বিদ্যুৎকুমার রায় পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের জেল হেফাজতের এই নির্দেশ দিয়েছেন। সকালের দিকে পি কে হালদার ও তার ৫ সহযোগীকে আদালতে তোলা হয়। পরে আদালতের বিচারক শুনানি শেষে অভিযুক্তদের আগামী ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
গত ১৪ মে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়ি থেকে পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে।
পরে দফায় দফায় জেল হেফাজত বাড়িয়ে অর্থ পাচার মামলার এই আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর আগে, সর্বশেষ গত ১০ আগস্ট পিকে হালদার ও তার সহযোগীদের কলকাতার বাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়েছিল।
সেই সময় ইডির কর্মকর্তারা আদালতকে বলেছিলেন, ভারতে অবৈধভাবে বসবাস ও ব্যবসা পরিচালনাকারী বাংলাদেশি নাগরিক পি কে হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদে বিপুল সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। প্রাথমিকভাবে ইডি ভারতে তার ১৫০ কোটি টাকার সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছে।
আজকালের খবর/এসএইচ