শিরোনাম: |
নড়াইলে শিক্ষক লাঞ্ছনা: বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট
নিজস্ব প্রতিবেদক
|
![]() বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী পূর্ণিমা জাহান এ রিট দায়ের করেন। এর আগে, গত ২৮ জুন আইনজীবী পূর্ণিমা জাহান ওই ঘটনায় সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন। তখন আদালত তাকে রিট আকারে আসার পরামর্শ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষককে অপদস্থ করার ঘটনায় হাইকোর্টে রিট দায়েরের সিদ্ধান্ত নেন আইনজীবী পূর্ণিমা জাহান। প্রসঙ্গত, ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাময়িক বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নড়াইল সদরের এক কলেজ ছাত্রের পোস্টকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে গত ১৮ জুন কলেজের অধ্যক্ষের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় ব্যক্তিদের ভাষ্য, নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের ওই ছাত্র ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার পরদিন কলেজে গেলে কিছু মুসলমান ছাত্র তাকে ওই পোস্ট মুছে ফেলতে বলেন। ওই সময় অধ্যক্ষ ওই ছাত্রের ‘পক্ষ নিয়েছেন’ এমন রটনা ছড়িয়ে পড়লে সেখানে উত্তেজনা তৈরি হয়। এ সময় উত্তেজিত ছাত্ররা অধ্যক্ষ ও দুজন শিক্ষকের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে তাদেরও সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে কলেজের কিছু ছাত্র ও স্থানীয় ব্যক্তিরা পুলিশের উপস্থিতিতে স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেন। এদিকে শিক্ষক অবমাননা, ভাঙচুরের ঘটনায় গত ২৭ জুন দুপুরে এসআই মোরসালিন মামলা করেছেন। ওই মামলায় শাওন (২৮), সৈয়দ রিমন আলী (২২) ও মনিরুল ইসলাম রুবেল (২৭) নামে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শিক্ষক নিরাপদে রয়েছেন। তিনি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় নিরাপদ অবস্থানে আছেন বলে জানিয়েছেন নড়াইল সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহমুদুর রহমান। আজকালের খবর/এসএইচ |