প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন, ২০২২, ২:৫৪ PM
‘ঢাকায় যাদের জমি ও ফ্ল্যাট আছে সবাই কালোটাকার মালিক’ এ শিরোনামে কিছু নিউজ পোর্টাল ও দৈনিক পত্রিকার অনলাইনে সংস্করনে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দিয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ব্যাখ্যা দিয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংবাদ শিরোনামকে অতি আকর্ষনীয় করার তাগিদে কিছু অনলাইন সংস্করনে একটি বক্তব্যবের অংশবিশেষ প্রকাশ করায় একটি অনাকাংঙ্খিত বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। পুরো সংবাদটি যদি কেউ না পড়ে তাহলে এ ধরনের শিরোনাম ভুল বার্তা পৌছে দিচ্ছে। তাই প্রকৃত বক্তব্যটি খেয়াল করে প্রকৃত বার্তাটি পৌছে দিয়ে অনাকাংঙ্খিত বিভ্রান্তি সৃষ্টি থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গতকাল বুধবার অর্থনৈতিক ও সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সাংবাদিকদের একটি প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রাজধানীর গুলশান এলাকায় জমির যে দাম দেখিয়ে নিবন্ধন করা হয়, জমির প্রকৃত দাম তার চেয়েও বেশি। কিন্তু বেশি দামে তো নিবন্ধন করানো যায় না, প্রতিটি মৌজার জন্য দাম ঠিক করে দেওয়া আছে, এর বেশি দামে নিবন্ধন করা যাবে না। সুতরাং কালোটাকা তো সেখানেই সৃষ্টি হচ্ছে; কে কালো টাকার বাইরে আছে।
একই প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে, হয়ত যে ফ্ল্যাট দুই কোটি টাকায় নিবন্ধিত হচ্ছে, সেই ফ্ল্যাটের প্রকৃত দাম হয়ত ১০ কোটি টাকা। ফলে সরকার বাড়তি নিবন্ধন মাশুল পাচ্ছে না। এখানেই কালোটাকা সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়গুলো সবাইকে বুঝতে হবে। ঢাকা শহরে যার জায়গা আছে কিংবা যে ব্যক্তি জায়গা কিনেছেন, শুধু তিনিই বলতে পারবেন, কত টাকায় নিবন্ধন হয়েছে এবং জমির প্রকৃত বাজারদর কত? সুতরাং ঢাকা শহরে যাদের জমি বা ফ্ল্যাট আছে, তারা সবাই এক অর্থে ‘কালোটাকার মালিক’। তবে এ পরিস্থিতির জন্য আমাদের বিদ্যমান ‘সিস্টেম’ বা ব্যবস্থা দায়ী।
আজকালের খবর/এসএইচ