শিরোনাম: |
দেড় মাস পর দেখা মিলল ডা. মুরাদ হাসানের
জামালপুর প্রতিনিধি
|
![]() শুক্রবার রাত ১০টার দিকে তার চাচা মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান তালুকদার ইন্তেকাল করেন। এ মৃত্যু সংবাদ পেয়ে শনিবার সকালে চাচাকে শেষ দেখা দেখতে আসেন মুরাদ হাসান। এ সময় মুরাদ তার অনুসারীদের সঙ্গে কোশল বিনিময়ও করতে দেখা গেছে। জানা যায়, ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত এমপি নির্বাচিত হন ডা. মুরাদ। পরে প্রতিমন্ত্রী করা হয় তাকে। কিন্তু বিতর্কিত মন্তব্য ও নারীদের নিয়ে অশোভন বক্তব্য দিয়ে সেই মন্ত্রিত্ব হারান তিনি। এতে সরিষাবাড়ীর সাধারণ মানুষসহ দলের নেতাকর্মীরা তার বিচার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। মুরাদ হাসান পদত্যাগ করার পর দলের নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ ও তার কুশপুত্তলিকা দাহ করে প্রতিবাদ জানান। মুরাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে জামালপুর জেলাসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে ও মুরাদের নিজ এলাকা আওনা ইউনিয়নের দলীয় সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করার জন্য সুপারিশ পাঠায় জেলাসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। মুরাদ হাসান তার মন্ত্রিত্ব ও দলের পদপদবি হারিয়ে ফেলার কারণে এলাকায় আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। তার চাচার মৃত্যুতে এলাকায় আসেন তিনি। জানাজায় অংশ নিয়ে ডা. মুরাদ হাসান বলেন, বাংলাদেশের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে কোনো রাজাকার জন্মগ্রহণ করেনি। কিন্তু জামালপুরের সরিষাবাড়ীর উপজেলার আওনা ইউনিয়নে একটি রাজাকারও জন্মগ্রহণ করেনি, এটা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি এবং সেই পবিত্র মাটি। দুপুর ২টায় তার চাচার দাফন কার্যক্রম শেষ করে ফের ঢাকা চলে যান মুরাদ। আজকালের খবর/বিএস |