শিরোনাম: |
শাবি ভিসির মদতেই শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলা
সিলেট প্রতিনিধি
|
![]() বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১ টায় প্রেস বিফ্রিং করা হয়েছে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে। আন্দোলনকারীদের পক্ষে নাফিসা আঞ্জুম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, সেদিনের হামলার ঘটনা উপাচার্যের মদতেই ঘটেছে। পুলিশ হামলার করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েই এসেছিল। এর পরে আন্দোলনকারীদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ও গুলি ছোড়া হয়। টিয়ারশেল ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করা হয় শিক্ষার্থীদের, করা হয় লাঠিপেটা। উপাচার্যের অপসারণের আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও রাষ্ট্রপতি তদন্ত কমিটি গঠন করুক, এমনটা চান কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের কাছে স্পষ্ট যে ভিসির মদতেই পুলিশ আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমরা তাই ভিসির অপসারণ চাই। অপসারণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বা রাষ্ট্রপতি কোনও কমিটি গঠন করবেন আমরা তা চাই না। এদিকে উপাচার্যের স্বেচ্ছায় পদত্যাগের জন্য দেওয়া আল্টিমেটাম শেষে বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা ৩টায় আমরণ অনশনে বসেন ২৪ জন শিক্ষার্থী এর আগে গতকাল বুধবার রাতে আমরণ অনশনে বসা ২৪ জন শিক্ষার্থীসহ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে এসে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, সেন্টার অব এক্সিলেন্সের পরিচালক, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও ডিনসহ শতাধিক শিক্ষক। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় ব্যর্থ হয়ে ফেরার পথে কোষাধ্যক্ষ বলেন, ‘কার নির্দেশে পুলিশ এ কাজ করলো তা তদন্ত করে বের করতে হবে। এ কাজটি ভিসি, ট্রেজারার, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক বা প্রক্টর, যার নির্দেশেই ঘটুক না কেন, তাকেই দায় নিতে হবে। ভিসির নির্দেশে হয়ে থাকলে আমরা ভিসির পদত্যাগের আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একমত পোষণ করবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আবাসিক হলের সমস্যা নিরসনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনার পরদিন রবিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। তারা প্রভোস্ট বডির পদত্যাগ ও হামলার বিচার দাবি করেন। পরে বিকাল ৪টায় আইআইসিটি ভবনের সামনে উপাচার্যকে মুক্ত করতে পুলিশ উপস্থিত হয়। এ সময় ‘ক্যাম্পাসে পুলিশ কেন? প্রশাসন জবাব চাই’ স্লোগানে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যায় লাঠিপেটার পাশাপাশি, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুড়ে পুলিশ ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করে ভিসিকে উদ্ধার করে বাংলোতে পৌঁছে দেন। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে সোমবার (১৭ জানুয়ারি) ১২টার মধ্যে সব শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেন। তবে শিক্ষার্থীরা হল না ছেড়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আজকালের খবর/বিএস |