শিরোনাম: |
আদর্শ সমাজ গঠনে শিক্ষকদের মূল্যায়ন জরুরি
রায়হান আহমেদ তপাদার
|
![]() একটি উন্নত দেশ ও জাতি গঠনে শিক্ষার ভূমিকা, গুরুত্ব এবং তার প্রমাণ লিখে বা বলে শেষ করা যাবে না। যে জাতি বা দেশের শিক্ষার অবকাঠামো ও শিক্ষার সামগ্রিক পরিবেশ যত উন্নত, দেশ ও জাতি হিসেবে সে জাতিই উন্নত ও স্বয়ংসম্পন্ন। শিক্ষক ও মা-বাবার অবদান অস্বীকার করে, এমন একজনকেও পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া যাবে না। মা-বাবা যেমন সন্তানদের ভালোবাসা, স্নেহ, মমতা দিয়ে বড় করেন, ঠিক তেমনি শিক্ষকরা তাদের শিক্ষার আলো দিয়ে ভবিষ্যৎ গড়ে দেওয়ার প্রাণপণ চেষ্টা করে যান। স্নেহ, মমতা, ভালোবাসা তো বটেই। তাদের শিক্ষার আলো যেমন শিক্ষার্থীদের সামনের পথ চলাকে সুদৃঢ় করে, তেমনি তাদের স্নেহ, মমতা, ভালোবাসা তাদের অনুপ্রাণিত করে। সবাই ভালো ছাত্র হয় না, তবে সবাই ভালো মানুষ হতে পারে। শিক্ষার লক্ষ্য হলো ভালো মানুষ তৈরি করা। শিক্ষক নিজে মানুষ হিসেবে কতোটা আদর্শবান ও ভালো তার ওপর নির্ভর করে শিক্ষার্থীরা ভালো মানুষ হয়ে উঠবে কিনা। শিক্ষকতার পেশায় নৈতিকতা খুবই জরুরি। এ ছাড়া নীতি-নৈতিকতা বোধ জাগ্রত না হলে কারো পক্ষে এ মহান পেশায় থাকা ঠিক নয়। আসলে ছাত্র ও শিক্ষকের সম্পর্কটা হলো আত্মিক। ছাত্রের দেহ, মন ও আত্মার বিকাশ সাধনে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আর এজন্য শিক্ষকের সাথে ছাত্রের সম্পর্ক হবে গড়ৎব ঃযধহ ধ ভধঃযবৎ, সড়ৎব ঃযধহ ধ ভৎরবহফ. শিক্ষক হবেন শিক্ষার্থীর পরমবন্ধু, উপযুক্ত পথ প্রদর্শক এবং বিজ্ঞ ও বিচক্ষণ দার্শনিক। এক কথায় শিশুর ঋৎরবহফ, চযরষড়ংড়ঢ়যবৎ ধহফ মঁরফব। কোনো কঠিন বিষয়কে সহজভাবে ছাত্রদের সামনে উপস্থাপন করা শিক্ষকের একটা বড়গুণ। শিক্ষার্থীর ওপর সাধ্যের অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি না করা; শিশুকে তার ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী পাঠদান করানোসহ নিজেকে সঠিকভাবে গড়ে তোলার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের নিজের সন্তান মনে করে সবার সাথে সমান আচরণ করতে হবে। একটি জাতির, সভ্যতার প্রধান মাপকাঠি শিক্ষা। শিক্ষাকে তাই যুগে যুগে জাতির মেরুদণ্ড হিসেবে সকলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, শিক্ষকরাই জাতির মেরুদণ্ড। কথাটি যথার্থ, সময়োপযোগী ও ন্যায়সঙ্গত মনে হলেও প্রশ্ন থাকে কোন শিক্ষক? অবশ্যই আদর্শ শিক্ষক। যার লক্ষ্য হবে আদর্শ মানুষ তৈরি, আদর্শ নাগরিক তৈরি; যার লক্ষ্য হবে শিক্ষার্থীর দেহ, মন ও আত্মার পূর্ণ বিকাশ সাধন করা। নিজেকে সত্য ও সঠিক পথে চলার যোগ্য করে তোলার পাশাপাশি নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার জন্য প্রস্তুত করতে হবে এবং ছাত্র-ছাত্রীদেরও বলতে হবে। একজন আদর্শ শিক্ষকই জাতির মেধা গড়ার কারিগর। তাই তাকে হতে হবে আর দশটি মানুষের তুলনায় সেরা। একজন আদর্শ শিক্ষকের বৈশিষ্ট্য হবে- ছাত্র-ছাত্রীদের যেকোনো সমস্যায় ভালোভাবে বোঝানোর ক্ষমতা বা দক্ষতা। সব ধরনের পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া। ছাত্র-ছাত্রীদের সত্যের পথে চালিত করা। ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে আত্মিক বন্ধন তৈরি করা। কাজেই শিক্ষকদের কেন্দ্র করেই মানব সমাজের ক্রমোন্নয়ন সাধিত হয়েছে। কাজেই শিক্ষক হলেন সমাজের কেন্দ্রবিন্দু। শিক্ষক যে সমাজে বসবাস করেন, তিনি স্বাভাবিকই সে সমাজের একজন প্রতিনিধি। কারণ সমাজ ছাড়া মানুষ নেই, আবার মানুষ ছাড়া সমাজ গঠিত হতে পারে না। বর্তমান শিক্ষাকেন্দ্রে আধুনিক ভাবধারা প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষকদের কাজ ও দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে। বর্তমানে শিক্ষকদের কর্মক্ষেত্র শুধুমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চার দেয়ালের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং সমগ্র সমাজ পরিবেশেই তার কর্মক্ষেত্র সুবিস্তৃত। একজন আদর্শ শিক্ষক প্রথমে একজন মানুষ। তারপর একজন পেশাজীবি এবং মহান পেশাজীবি এবং বুদ্ধিজীবিও। আমাদের দেশে শিক্ষকের সামাজিক মর্যাদা এবং সম্মান পৃথিবীর যেকোনো দেশের তুলনায় অতি নগণ্য। এদেশে শিক্ষকতার প্রতি বয়োজ্যেষ্ঠদের এমন অনীহা প্রকাশ পেয়ে চলেছে। এর অন্যতম কারণ শিক্ষকদের বেতন ভাতায় আকর্ষণীয়তা বলতে কিছু নেই। ফলে শিক্ষকদের জীবনযাত্রার মান অতি নিম্ন। যারা ভালো শিক্ষার্থী এবং প্রতিভাধর তারা অন্য চাকরিতে নিজকে সম্পৃক্ত করেন, শিক্ষকতায় নয়। পৃথিবীতে এখন সব দেশে শিক্ষকদেরকে সম্মানজনক আসন এবং মর্যাদাপূর্ণ সম্মানী দেওয়া হয়। আমাদের দেশেও শিক্ষকদেরকে সম্মান এবং মর্যাদা দিতে হবে, তবেই শিক্ষকতায় আকর্ষণ সৃষ্টি হবে। ৫০ বছরের ইতিহাসে ধনদৌলতে, বিলাসে, অবস্থানে, জীবন যাপনে পার্থক্য বেড়েছে শ্রেণির সঙ্গে শ্রেণির। উপরে উঠেছে মানুষ নিচের দিকে নেমে গেছে অধিকাংশ। এ বৈষম্য শিক্ষাক্ষেত্রেও প্রচণ্ডভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে। একাত্তরের যুদ্ধে, জাতি এক হয়েছিল একটি অভিন্ন লক্ষ্যে। আমাদের তেমন সমাজ গঠিত হয়নি। রাষ্ট্র সাহায্য করেনি বিকশিত জাতি গঠনে। শিক্ষাও তাই সাহায্য করেনি জাতি গঠনে। কেননা শিক্ষাও চলে রাষ্ট্রক্ষমতার ইচ্ছানুসারে। শিক্ষা অত্যন্ত জরুরি বিষয়, কেননা আজকের শিক্ষাই আগামী দিনের বাস্তবতা। শিক্ষার উন্নয়নের সঙ্গে শিক্ষকের উন্নয়ন ছাড়া সর্বজনীন শিক্ষা সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ও কলেজের একজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকের বেতন ও মর্যাদা যুগ্মসচিবের সমান হবে। এটা বড়ই অসামঞ্জস্যপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষকদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড কাক্সিক্ষত বিষয়। মূল কথা হচ্ছে, শিক্ষকের মর্যাদার সঙ্গে শিক্ষা ব্যবস্থা ও জাতির আশা-আকাক্সক্ষার রূপায়ণ ও ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধ সমাজ নির্মাণ সম্পর্কযুক্ত। তাই শিক্ষকদেরকে নৈতিক ও আর্থিকভাবে মর্যাদা দিয়ে নেতৃত্ব ও উন্নত মূল্যবোধ সৃষ্টি করে সমৃদ্ধ সোনার বাংলা নির্মাণ সম্ভব। শিক্ষক দিবস পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই পালিত হয়। শিক্ষক সমাজের নিকট এ দিনটি অত্যন্ত গৌরব ও সম্মানের। শিক্ষকদের আদর্শগত মহান কর্মকাণ্ডের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং তাদের পেশাগত অবদানকে স্মরণে-বরণে শ্রদ্ধায় পালন করার জন্য সমগ্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন তারিখে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালন করা হয়। শিক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতিবছর ১৯ জানুয়ারি পালিত হয় দিবসটি। কিন্ত প্রতিবছর ৫ অক্টোবর বাংলাদেশসহ বিশ্বের সর্বমোট ২১টি দেশে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ পালিত হয়। শিক্ষকতা হচ্ছে একটি মহান পেশা এবং পৃথিবীর সকল পেশার সেরা পেশা। শিক্ষকরা হচ্ছেন সভ্যতার ধারক-বাহক। শিক্ষক শুধু শিক্ষাদানই করেন না, তিনি মানুষ গড়ার কারিগরও। পিতা-মাতা আমাদের জীবনদান করেন ঠিকই; শিক্ষকরা সেই জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করেন। শিক্ষকরা স্বমহিমায় বিশুদ্ধ জ্ঞান, মানবিক আর নৈতিক শিক্ষায় সুশিক্ষিত এবং দিক্ষীত করে গড়ে তুলেন দেশের যোগ্য নাগরিক। শিক্ষা যেহেতু জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষকরা হচ্ছেন এই মেরুদণ্ড গড়ার কারিগর। এ সমাজের মধ্যে নৈতিক বিচারে শিক্ষকদের চেয়ে সম্মানিত এবং শিক্ষকতার চেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পেশা দ্বিতীয়টি নেই। শিক্ষকরা এ সমাজের প্রাণ। পৃথিবীতে যে যত মহৎ হোক না কেন, সে কোনো না কোনো শিক্ষকের অধীনে জ্ঞান অর্জন করেছেন। তাই পৃথিবীতে যতগুলো সম্মানজনক পেশা আছে এসব পেশার মধ্যে শিক্ষকতা সর্বোচ্চ সম্মানিত পেশা। একজন শিক্ষক সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের কাছে অত্যন্ত মর্যাদা ও সম্মানের পাত্র। উন্নত বিশ্বে শিক্ষকতা পেশাকে শ্রেষ্ঠ পেশা হিসেবে গণ্য করা হয়। ন্যায়-বিচার, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং একটি আদর্শ জাতি গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম। শিক্ষা আলোকিত সমাজ বিনির্মাণের হাতিয়ার। শিক্ষকরা হলেন তার সুনিপূণ কারিগর। শিক্ষা ছাড়া আলোকিত মানুষ সৃষ্টি কোনোভাবেই সম্ভব নয়। শিক্ষক শুধু শিক্ষাদানই করেন না, তিনি মানুষকে সভ্য হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করেন। শিক্ষক ও মা-বাবার অবদান অস্বীকার করে, এমন একজনকেও পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া যাবে না। মা-বাবা যেমন সন্তানদের ভালোবাসা, স্নেহ, মমতা দিয়ে বড় করেন, ঠিক তেমনি শিক্ষকরা তাদের শিক্ষার আলো দিয়ে ভবিষ্যৎ গড়ে দেওয়ার প্রাণপণ চেষ্টা করে যান। স্নেহ, মমতা, ভালোবাসা তো বটেই; তাদের শিক্ষার আলো যেমন শিক্ষার্থীদের সামনের পথ চলাকে সুদৃঢ় করে, তেমনি তাদের স্নেহ, মমতা, ভালোবাসা তাদের অনুপ্রাণিত করে। শিক্ষক সম্পর্কে উইলিয়াম আর্থার ওয়ার্ড যথার্থ বিশ্লেষণ করেছেন। তিনি বলেন, একজন সাধারণ শিক্ষক বক্তৃতা করেন, একজন ভালো শিক্ষক বিশ্লেষণ করেন, একজন উত্তম শিক্ষক প্রদর্শন করেন, একজন শ্রেষ্ঠ শিক্ষক অনুপ্রাণিত করেন। আমেরিকার ইতিহাসবিদ হেনরি এডামস শিক্ষকের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেছেন, একজন শিক্ষক সামগ্রিকভাবে প্রভাব ফেলেন, কেউ বলতে পারে না তার প্রভাব কোথায় গিয়ে শেষ হয়। দার্শনিক বাট্রার্ন্ড রাসেল এ বিষয়ে বলেছেন, শিক্ষক সমাজ হচ্ছেন প্রকৃত সমাজ ও সভ্যতার বিবেক। এ কারণেই শিক্ষকদের বলা হয় সমাজ নির্মাণের স্থপতি। সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী লুনাচারস্কি বলেছিলেন, শিক্ষক হলেন এমন এক ব্যক্তি যিনি নতুন প্রজন্মের কাছে যুগ-যুগান্তরে সঞ্চিত যাবতীয় মূল্যবান সাফল্য হস্তগত করবেন, কিন্তু কুসংস্কার, দোষ ও অশুভকে ওদের হাতে তুলে দেবেন না তাই পাঠ্যক্রমটি নিতান্তই প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, কিন্তু আন্তরিকতা একটি ক্রমবর্ধমান উদ্ভিদ এবং একটি শিশুর আত্মার জন্য আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটল বলেছিলেন, যারা শিশুদের শিক্ষাদানে ব্রতী তারা অবিভাবকদের থেকেও অধিক সম্মানীয়। পিতামাতা আমাদের জীবনদান করেন ঠিকই; শিক্ষকরা সেই জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করেন। শিক্ষকরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত। তাদের হাত ধরেই মূলত আমরা জ্ঞানের মহাসাগর পাড়ি দেই। শিক্ষকরা প্রদীপের মতো নিজেকে জ্বালিয়ে অন্যকে আলো দান করেন, অর্থাৎ শিক্ষক অমর, তিনি বেঁচে থাকেন ছাত্রের আদর্শের মাধ্যমে। শিক্ষকরা শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই শিক্ষা দেন তা নয়; তারা জীবনের সর্বক্ষেত্রে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেন। একজন আদর্শ শিক্ষকের কিছু কাজ ও দায়বদ্ধতা আছে। এ কাজ ও দায়বদ্ধতা সহকর্মীদের কাছে, সমাজের কাছে, দেশ ও জাতির কাছে, আগামী প্রজন্মের কাছে। একজন সফল মানুষের পেছনে শিক্ষকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। প্রত্যেক শিক্ষকের উচিত শিক্ষার্থীর শিক্ষার প্রতি অনুরাগ জাগ্রত করা। শিক্ষার্থীদের অন্ধকার হতে আলোর পথে নিয়ে যাওয়া এবং বাস্তব ও সত্য অনুসন্ধানে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করা। শিক্ষক শুধু সফল নয়, একজন ভালো মানুষ হতে শেখান। প্রত্যেক শিক্ষকের উদ্দেশ্য থাকা উচিৎ আদর্শ শিক্ষা বিলানো। সমাজের সাবির্ক অগ্রগমনের ক্ষেত্রে শিক্ষা ও শিক্ষকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আদর্শ জাতি গড়ার কারিগর শিক্ষকদের সর্বক্ষেত্রে মর্যাদা এবং মূল্যায়ন করা জরুরি। শিক্ষকদের মূল্যায়ন ছাড়া সুশিক্ষিত সমাজ বিনির্মাণ করা সম্ভব নয়। লেখক : গবেষক ও কলামিস্ট। আজকালের খবর/আরইউ |